লাল শাক এর উপকারিতা
আমরা লক্ষ করছি বর্তমানে আমাদের ছেলে মিয়েরা শাকশবজি না খেয়ে বিভিন্ন ভাজাপুড়ার প্রতি আসক্ত হচ্ছে। যেমন ধরেন ফাস্ট ফুট, পিয়াজি, বেগনি, পুরি ইত্যাদি। আমরা যদি এই সব ভাজা পুড়া খাবার না খেয়ে যদি খেতাম শাকশবজি তাহলে অনেক রোগ থেকে বেচে জেতাম। তাই আমাদের ছেলে মিয়েকে বেশি বেশি করে শাকশবজি খাওয়াব, বিশেষ করে লাল শাক আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম পুষ্টি উপাদান পুরন করে। শীতকালে লাল শাক বেশি পাওয়া গেলেও বর্তমানে সারা বছর লাল শাক পাওয়া যায়। তাই আমরা পরিবারের খাবার তালিকায় নিয়মিত লাল শাক রাখব।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
- ভিটামিন এ এর উৎস:
- ভিটামিন কে এর উৎস:
- কুষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা কষা:
- ভিটামিন সি এর উৎস:
- ভিটামিন ই এর উৎস:
- রক্ত সল্পতা দূর করে:
- লাল শাক রান্নায় শতর্কতা:
- কিডনির উপকারিতা:
- গর্ভকালীন ভিটামিন পুরন:
ভিটামিন এ এর উৎস:
লাল শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ যা আমাদের চোখ কে ভালো রাখে। আমাদের চোখের রেটিনাকে ভালো রাখে তাই আমাদের চোখকে ভালো রাখতে এবং চোখের দূষ্টিকে ভালো রাখতে প্রতিদিন লাল শাক খাওয়া প্রয়োজন।
ভিটামিন কে এর উৎস:
লাল শাকে ভিটামিন এ ছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন কে যা মানুষের দাত ও হাড় কে ভালো রাখে। তাই আমাদের হাড় ও দাত কে অনেক বছর ধরে ভালো রাখতে হলে লাল শাক খাওয়ার কোনো বিকল্প নাই। আমাদের সমাজে আমরা দেখতে পায় অনেক মানুষের অল্প বয়সে দাত নষ্ট হয়ে যায় এরং হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়, এই সব মানুষ যদি নিয়মিত লাল শাক খেতেন তাহলে হয় তো তাদের দাত ও হাড় ভালো থাকতো।
কুষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা কষা:
অনেক মানুষের সমস্যা হচ্ছে তাদের নিয়মিত পায়খানা হয় না হলেও অনেক কষা পেট নিয়ে অনেক কষ্ট পান। এই সমস্যা সমাধানে লাল শাকের গরুত্ত অপরিসীম। নিয়মিত খাবারের তালিকায় লালশাক রাখলে এই সমস্যা দূর হয়ে জাবে ইনশাআল্লাহ।
ভিটামিন সি এর উৎস:
লাল শাকে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীর থেকে স্কারভি রোগ দূর করতে সাহায্য করে , ভিটামিন সি এর অভাবে শরীরে আরো অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয় তাই খাবারের তালিকায় যদি আমরা লাল শাক রাখি , তাহলে আমরা ভিটামিন সি এর অভাব অতি সহজে দুর করতে পারব।
ভিটামিন ই এর উৎস:
চুল ও ত্বক ভালো রাখতে প্রয়োজন ভিটামিন ই আর আমরা লাল শাক থেকে প্রচুর ভিটামিন ই পায়।যা আমাদের চুল ও ত্বক অনেক বয়স পর্যন্ত ভালো রাখে। তাই আমরা নিয়মিত লাল শাক খাব।
রক্ত সল্পতা দূর করে:
যাদের শরীর দুর্বল ও রক্ত কম তারা যদি নিয়মিত লাল শাক খায়। তাহলে তাদের শরীরে অল্প সময়ে রক্ত সল্পতা পূরন হবে ও শরীর দুর্বলতা কেটে যাবে।
লাল শাক রান্নায় শতর্কতা:
লাল শাক রান্নার ক্ষেত্রে কিছু জিনিস লক্ষ রাখতে হবে যেমন লাল শাক বাজার থেকে এনে প্রথমে শাকগুলো ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে তার পর শাকগুলো কেটে নিতে হবে। শাক কেটে নেয়ার পরে আর ধুয়া যাবে না, ধুলে শাকের পুষ্টিগুন নষ্ট হয়ে যাবে। তাই লাল শাক কাটার আগে ভালো করে ধুয়ে নিব। তারপর অল্প তাপে ও অল্প তৈলে শাক রান্না করব তাহলে শাকের পুষ্টিগুন ভালো থাকবে।
কিডনির উপকারিতা:
নিয়মিত লাল শাক খেলে কিডনি ভালো থাকে। তাই কিডনি ভালো রাখতে লাল শাক খাওয়া প্রয়োজন। লাল শাকে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং আয়রন যা কিডনিকে ভালো রাখে।
গর্ভকালীন ভিটামিন পুরন:
গর্ভকালীন সময় নিয়মিত লাল শাক খেলে ভিটামিনের অভাব পুরন হয় এবং গর্ভবতী মহিলা বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পায়। তাই গর্ভকালীন সময় গর্ভবতীকে নিয়মিত লাল শাক খাওয়াব।
পরিশেষে বলা যায়, লাল শাকের উপকারিতা অনেক যা বলে শেষ করা যাবে না। তই নিয়মিত শাক সবজি খান আর সুস্থ্য থাকুন।
আম্বিয়া ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url